সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সুনামগঞ্জের পেরুয়া-শ্যামারচর গণহত্যা স্থলে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ:: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা ১৯৭১সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় বহুল আলোচিত পেরুয়া-শ্যামারচর গণহত্যার এলাকা ৩দফা তদর্ন্ত শেষে এবার পরিদর্শন করেছেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মাসুম ও রিজিয়া সুলতানা। রবিবার (২২এপ্রিল-২০১৮ইং) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তর্দন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেনসহ সংস্থার ৯সদস্যের একটি তর্দন্তদল ১৯৭১সালে দিরাইয়ের শ্যামারচর গনহত্যাস্থল পরির্দশন করেন। এসময় উপজেলার পেরুয়া-শ্রামারচর এলাকায় সবার সাথে কথা বলেন। পরে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ চত্তত্বে

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। আর্ন্তজাতিক যুদ্ধা অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মাসুম বলেন,খুব শ্রীর্ঘই সুনামগঞ্জের শ্রামারচর গনগত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন এসেছি কোন নিরাপরাধ লোক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য। ১৯৭১সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার পেরুয়া-শ্যামারচর গণহত্যার আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাঅপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। তৃতীয় বার তর্দন্তকারী দল দিরাইয়ের শ্যামারচর এলাকা তর্দন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই মামলার তর্দন্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সঠিক অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আমরা দৌলতপুর,পেরুয়া,শর্মা,দাউদপুর,শ্যামারচর ও উজানীগাঁও এলাকার বিভিন্ন বাড়ি বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে,প্রতক্ষ্য দর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ,স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যারা দেশের মুক্তিকামী মানুষ কে নির্বীচারে হত্যা করেছে তাদের কে আইনে আওতায় আনার জন্য প্রকৃত হত্যাকান্ড উদঘাটন করে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

জানাযায়,মুক্তিযোদ্ধের উত্তাল দিন গুলোর সময় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় পাকহায়নারা ও তাদের সহযোগী বাঙ্গালী দালালরা যে সব বর্বরচিত কয়েকটি হত্যাকান্ড ঘটনা গঠিয়ে ছিল এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ছিল দিরাই উপজেলা ১৯৭১সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় পেরুয়া-শ্যামারচর গণহত্যা। এখানে ১৯৭১সালে ৬ডিসেম্ভও শতাধিক নারী কে ধর্ষন ও ৬০-৭০জন নিরীহ বাঙ্গালী গণহত্যার শিকার হয়। কয়েক শত বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করা হয়। দিরাই থানা ও হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানটি ছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর রাজাকারদের ক্যাম্প। এখানেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এলাকার রাজাকারদের সহযোগীতায় নিরীহ মানুষদের কে এনে অত্যাচার করত। শ্যামারচরের পাশে এলংজুড়ির টর্চারসেল হিসাবে পরিচিত জলদারপুতায় ও শাল্লা উপজেলা সদরের যেখানে ১৯৭১সালে আর্মিক্যাম্প ছিল (হিন্দু সম্প্রদায়ের আখড়া) এবং রাজাকার ক্যাম্প ছিল (বর্তমান শাল্লা থানা) তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তর্দন্তদল। তর্দন্ত কালে প্রতক্ষ্যদর্শী ও এই এলাকার বিরাঙ্গনাদের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।

আরো জানাযায়,রাজাকারদের তালিকা তৈরী ও গ্রাম ভিত্তিক রাজাকারদের তালিকা তৈরী করার জন্য ইউনিয়ন কমান্ডাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭১সালে ৬ডিসেম্ভর শ্যামারচর-পেরুয়া হত্যাকান্ডের ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আতাউর রহমান ও রজনী কান্ত রাজাকাদের বিরোদ্ধে ৭২সালে দালাল আইনে মামলা করে। মামলা দেওয়ার পর অপরাধীদের বিরোদ্ধে গত বছরের প্রথম বার গত ১ ও ২জুন ২০১৬ইং তর্দন্তকারী দল ও দ্বিতীয় বারের মত গত ২০,১০,১৬ থেকে ২২,১০,১৬ইং পর্যন্ত ও তৃতীয় দফা মঙ্গলবার (১৪,১১,১৭ইং) তর্দন্ত করেছেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তাগন। ঐ দিন গুলোতে তর্দন্ত সংস্থার কর্মকর্তাগন ১৯৭১সালে দিরাইয়ের শ্যামারচর গনহত্যাস্থল পরির্দশন করে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করেন। তারা তখনকার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেন। এসময় কয়েকজন বীরঙ্গনার কথাও উঠে আসে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,অনেকেই নিজেদের লজ্জায় সামনে আসেন নি। সেই বর্বরচিত হত্যা কান্ডের কথা স্বরন হলেও এখনো সেই হত্যা কান্ডের সাথে জরিতরা এখনো বেঁেচ থাকায় ও প্রভাবশালী হওয়ায় এবং কেউ কেউ স্বাধীনতার পর বর্তমানে শক্ত অবস্থানে থাকার কারনে মুখ খোলতে সাহস পায় না অনেকেই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান,মুক্তিযোদ্ধের সময় ম্যামারচর-পেরুয়া হত্যাকান্ডের সাথে জরিত যুদ্ধাপরাধীদের বিরোদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে বর্তমানে যারা জীবিত রাজাকারা রয়েছে তারা যেন কোন ভাবেই ছাড় না পায় তাদের কঠিন শাস্তির দাবী জানাই। দৌলতপুর,পেরুয়া,শ্যামারচর ও উজানীগাঁও এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান,দিরাই উপজেলার পেরুয়া-শ্যামারচর গণহত্যার একটি জঘন্যতম ঘটনা। এই গণহত্যার কথা শুনলে ঘাঁ শিউড়ে উঠে। এই গণহত্যার প্রতক্ষ্য দর্শী ও নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষ ও এই এলাকার অনেক বিরাঙ্গনা এখনো জীবিত রয়েছে। আমরা এই নৃশংস হত্যা কান্ডের সাথে জরিত বর্তমানে জীবিত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: