cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ছাতক:: সুনামগঞ্জের ছাতকে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটাকে কেন্দ্র করে কিষান-কিষানীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এখানের হাওরাঞ্চল ও গ্রামীন জনপথ। হাওর জুড়ে চলছে বোর ধান কাটার উৎসব। গত বছর এমন সময় বিষাদে তিক্ত ছিল হাওর পাড়ের মানুষ। অকাল বন্যার পানিতে থৈ-থৈ করছিল হাওরের পর হাওর। ফসলহারা মানুষের চোখের জল ও অবিরাম বৃষ্টিধারা একাকার হয়ে গিয়েছিল অকাল বন্যার পানি। চলতি মৌসুমে হাওর জুড়ে বইছে ঠিক বিপরীত দৃশ্য। কৃষক-কিষানীদের কর্ম ব্যস্থতায় এখন হাওরে-হাওরে বইছে বাংলার সেই চিরাচরিত রূপ। একদিকে বাম্পার ফলন অন্যদিকে ফসল হারানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাওয়ায় কৃষকরা ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই ও ধান গোলায় তোলার কাজে এতটুকু সময় নষ্ট করতে নারাজ। দিবা-রাত্রি রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কৃষক পরিবার হাওরে ত্রিপালের তাবু টানিয়ে বোরো ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন। হাওরে-হাওরে সোনালী ফসলের সমাহার যেন দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে। টানা দু’বছর বোরো ফসল হারা কৃষকরা এখন আর পেছনে ফিরতে চায় না। তারা সময়ের আগেই ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন। কাটা ধান খলায় এনে মাড়াই-ঝাড়াই শেষে ধান এবং গো-খাদ্য খড় শুকানোর কাজে সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার প্রত্যকটি হাওরে এখন বোরো ফসল কাটার ধুম পড়েছে।
এবছর বোর ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এখানের কিষান-কিষানীরা আনন্দে মাতোয়ারা। চলতি মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপজেলার নাইন্দা, ডেকা ও চাউলীর হাওরে ৭টি পিআইসি গঠনের মাধ্যমে আগাম ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা অনেকটা স্বস্থিতে ছিল। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এখানে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ১৩ হাজার ৭৯৮ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপশী জাতীয় ধান চাষ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৮ হেক্টর, হাইব্রিড চাষ করা হয়েছে ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের টেপু, গর্চি, গাছমাল চাষাবাদ করা হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন খুবই ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে কৃষকদের। ঘন-ঘন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কৃষকদের আরো দক্ষ ও সচেতন করা হয়েছে। এক বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় উপজেলার ১৮ হাজার ৭৬৬ জন কৃষককে বীজ, সার ও নগদ ১হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের উপর সরকারের কঠোর নজরধারী থাকায় বাঁধ গুলোর অবস্থা ভাল রয়েছে। আগাম বন্যায় ফসলহানীর সম্ভাবনা অনেকটাই কেটে গেছে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, উপজেলার হাওরগুলোতে ধান কাটা শুরু শুরু হয়েছে। আগামী ১৫-১৬দিনের মধ্যে কৃষকরা তাদের কাংখিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে। কৃষক আজাদ মিয়া, হাজী আব্দুল খালিক, আরজু মিয়া, জালাল উদ্দিন জানান, আগাম জাতের বোর ফসল ভালো হলেও এ বছর ধানে এক তৃতীয়াংশ চিটা রয়েছে। চিটার কারনে কাংখিত ফসলের চেয়ে কম ফসল পাচ্ছেন কৃষকরা।