cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক::
আগামী ৪ মে বাংলাদেশের জন্য হতে যাচ্ছে অন্যরকম একটি দিন। হ্যাঁ, ওইদিনই মহাকাশের বাসিন্দা হতে রওনা হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেবে মহাকাশে।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও ফ্লোরিডায় হারিকেন আরমায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় কেইপ কেনাভেরাল থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে গেলে বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়।
এরই মধ্যে তিন দশমিক ৭ মোট্রক টন ওজনের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণে শুরু হয়ে গেছে ‘লঞ্চ ক্যাম্পেইন‘।
এর প্রকল্প পরিচালক মো. মেজবাহুজ্জামান জানান, ফ্যালকন-৯ রকেটে চারটি অংশ রয়েছে। ওপরের অংশে থাকবে স্যাটেলাইট, এরপর অ্যাডাপটর। এরপর স্টেজ-২ এবং সবচেয়ে নিচে থাকবে স্টেজ-১।
মেজবাহুজ্জামান জানান, এ উৎক্ষেপণ দেখতে হলে আগ্রহীদের উৎক্ষেপণ স্থান থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিতে হবে। যদিও সাত মিনিটের কম সময় দেখা যাবে, তার পরপরই উচ্চগতির রকেট চলে যাবে সবার দৃষ্টিসীমার বাইরে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর রকেটের স্টেজ-১ খুলে নিচের দিকে নামতে থাকে, এরপর চালু হয় স্টেজ-২। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেজ-১ পৃথিবীতে এলেও স্টেজ-২ একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্যাটেলাইটকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশেই থেকে যায়।
এই উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া দুটি ধাপে শেষ হয় জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রথম ধাপটি হল লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেইজ (এলইওপি) এবং দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন অরবিট। এলইওপি ধাপে ১০ দিন এবং পরের ধাপে ২০ দিন লাগবে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ স্থান থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে যাবে। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন। তবে স্যাটেলাইট উম্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে। এই তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এর নিজস্ব কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট) স্থাপন করা হবে।
স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন লাগবে। এবং স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে।
সবচেয়ে আশার কথা হলো, ৪ মে স্পেসএক্স’র ওয়েবসাইটে পুরো উৎক্ষেপণ দেখানো হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।