cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেস্ক রিপোর্ট:: সরকারিসহ সব ধরনের চাকরিতে কোটা সংস্কারের চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে খুবই যৌক্তিক আন্দোলন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলন খুবই যৌক্তিক। কিন্তু, সরকার স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে এ আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কখনো স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে দাবিয়ে রাখা যায় না।’
মঙ্গলবার বিকালে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপি’র সিলেট বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় নগরী সিলেটে ‘শান্তিপূর্ণ’ এ সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি।
সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তার মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেন নি। ফলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খন্দকার মোশাররফ।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বছর খানেক আগে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। এ অনুযায়ী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠী ছাড়া অন্য কোন কোটা থাকবে না। এবং তা ভিশন-২০৩০ তে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করাও আছে।’
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃংখল আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করা যায়নি বরং বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বিএনপির মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগকে র্যাব-পুলিশকে ব্যারাকে রেখে রাজপথে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুলিশ-র্যাবকে ব্যারাকে রেখে রাজপথে লড়াইয়ে আসুন। তাহলেই বোঝা যাবে কার শক্তি বেশি, জনগণ কার সঙ্গে আছে?
দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। গণতন্ত্রের সমাবেশে অনুমতি প্রয়োজন নেই। সংবিধান এই অধিকার একটা নাগরিককে দিয়েছে। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে সে অধিকার টুকু পাচ্ছি না।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ১৭ বছর আগে এই দলটি দুর্নীতির সার্টিফিকেট পেয়েছিল। এবার তারা স্বৈরচারী হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। জনগণের ওপর তাদের কোনো ভরসা নেই। তাদের ভরসা অন্য জায়গায়। কিছু পুলিশের ওপর আর নির্বাহী বিভাগের ওপর।
‘আজ তারা সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ার বাজার লুট করেছে। দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশ পাচারের ব্যবস্থা করেছে।’ জনগণের উদ্দেশ্য করে খসরু বলেন, আপনারা প্রস্তুত থাকুন, এসবের জবাব দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্যা বুলু, আমান উল্যাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইনাম আহমদ চৌধুরী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. ইনামুল হক চৌধুরী, ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন, দিলদার হোসেন সেলিম, কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, শরাফত আলী সপু, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গৌছ, এম নাসের রহমান, এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সেক্রেটারী বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।