cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক::
কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে পুরোনো ও বসবাসের অযোগ্য ভবনে খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজ আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রফেসর সাইফুল ইসলাম।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা’বিষয়ক এ প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন প্রফেসর সাইফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে যে কোন সময়ে পড়ে গিয়ে হাঁটু, উরুসন্ধি, হাত ও মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙ্গাসহ মস্তিঙ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডে আঘাতজনিত পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া নির্জন, নি:সঙ্গ, নিরাপত্তাহীন পরিবেশের কারণে নিদ্রাহীনতা উদ্বেগ ও বিষন্নতাসহ নানা মানসিক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভবনা বহুগুন বেড়ে গেছে। বিরূপ, নিপীড়নমূলক পরিবেশ ও অস্বাভাবিক মানসিক চাপের ফলে তার আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিত্যক্ত পুরোনো ভবনের বিষাক্ত পরিবেশে তার মারাত্মক ফুসফুসের সংক্রমন বা নিউমোনিয়ার সম্ভবনাও বেশ প্রবল হয়ে উঠেছে।
খালেদা জিয়াকে একটি সূর্যালোকহীন, নির্জন, স্যাঁতস্যাঁতে পুরোনো ও বসবাস অযোগ্য ভবনে মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ডিভিশন দেয়া হলেও বলা হচ্ছে যে, ‘তার (খালেদা জিয়া) বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র অত্যন্ত নিম্নমানের এবং ব্যবহার অযোগ্য। একজন অসুস্থ মানুষ হিসেবে তার খাবারের মান নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। কেউ কেউ তার এই বন্দি অবস্থাকে বিভৎস নির্যাতনের প্রতীক কনসানট্রেশন ক্যাম্পের সাথে তুলনীয় বলে মনে করছেন। তার (বিএনপি চেয়ারপারসন) পরিবারের অন্যান্যদের মত তাকেও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে এক শোচনীয় পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়াই প্রকৃত উদ্দেশ্য সে বিষয় জনমনের সন্দেহ প্রকট হচ্ছে।’
‘এছাড়া সূর্যালোকহীন স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে তার ভয়ঙ্কর মাত্রার ভিটামিন-ডি ও ক্যালশিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে যা তার হাড়ের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তার বয়স ও স্বাস্থ্যগত অবস্থায় ব্যক্তিগত পরিচর্যার বিষয়টি সুচিকিৎসার স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ, যা কেবল পারিবারিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেই পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব। কারাগার বিশেষ করে পুরোনো, পরিত্যক্ত দূষণযুক্ত ভবনে স্বাস্থ্য ও জীবন উভয়ই অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে।’
‘খালেদা জিয়ার দীর্ঘকালীন অসুস্থতা তার চিকিৎসায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিগত চিকিৎসকদেরই ভালোভাবে জানা আছে। নতুন কোনও চিকিৎসক দলের পক্ষে তার সম্পূর্ণ অবস্থা এক নজরে ও এক নিমেষে অনুধাবন এবং নির্ণয় করা অসম্ভব। তাই তার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করতে হলে, বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের ভূমিকা উপেক্ষা করা ঠিক নয়। বিষয়টি উপেক্ষা করলে সকল পরিণতিতে সরকারের দায়ী হবার প্রমাণ মিলবে এবং তা না করলে দায় লাঘব হবে।’
‘সরকারের পছন্দের নতুন চিকিৎসক দল নিয়োগ করায় এই দল একবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে বেগম জিয়ার রোগ অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন। ফলে এই নতুন চিকিৎসক দল প্রাথমিক অনুসন্ধানে সমর্থ কিছু মামুলী এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। কিন্তু সিটি-স্ক্যান, এম-আর-আই ইত্যাদি আধুনিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়াও নিবিড় পর্যবেক্ষণ এ ক্ষেত্রে রোগনির্ণয় ও উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্য সমস্যা নির্ণয়ে এ নতুন চিকিৎসক দল কোন পরামর্শ দেননি। ফলে বেগম জিয়ার লিভার, কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, অস্থির শক্তি নির্ণয় ইত্যাদি জীবন ও সুস্থতা সম্বন্ধীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করাটা একজন চিকিৎসক হিসেবে রোগীকে অবহেলা না করার আচরণের নমুনা হিসাবে গ্রহণ করা যায় না। ফলে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রশাসনিক তৎপরতার বিষয়টি যে এক রকম লোক দেখানো, হঠকারীতামূলক ও জনবিভ্রান্তি সৃষ্টির সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা সেটি বুঝতে জন সাধারণের কষ্ট হওয়ার কথা নয়।’
প্রেস কনফারেন্সে বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনারসহ চিকিৎসকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।