সর্বশেষ আপডেট : ২২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

বিউটি হত্যায় জড়িত পিতা ছায়েদ, আদালতে স্বীকারোক্তি

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:: হবিগঞ্জে কিশোরী বিউটি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে বিউটির বাবা ছায়েদ আলী। তবে তিনি জবানবন্দীতে কি বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি।

শনিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিউটির বাবা ছায়েদ আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মেয়ে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, ছায়েদ আলী নিজেই অকপটে স্বীকার করে নেন মেয়ে হত্যার দায়। নিজেই নানার বাড়ি থেকে মাঝ রাতে এনে তুলে দিয়েছেন খুনিদের হাতে। পরে প্রতিবেশী আছমা আক্তারের বক্তব্য রেকর্ড করেন আদালত ।

এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ময়না মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দীতে ময়না মিয়া হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। এছাড়া, এ ঘটনায় একই আদালতে গ্রেপ্তারকৃত আলোচিত প্রধান আসামী বাবুল মিয়াও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৬) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগিরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে বিউটিকে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলম চানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।

এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে মরদেহ হাওড়ে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে। এরপর ৩১ মার্চ র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলেট থেকে প্রধান আসামী বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে গত রবিবার আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: