cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ওসমানীনগর সংবাদদাতা ::
নবাগত সাবরেজিস্ট্রার যোগদানের আগেই কর্মস্থলে পাঠানো একটি আয়েশী চেয়ার নিয়ে ওসমানীনগর উপজেলাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পনেরো হাজার টাকা মাইক্রো ভাড়া করে চেয়ারটি আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্ধারিত চেয়ারটি ছাড়া নবাগত সাবরেজিস্ট্রার অফিস করতে পারেন না এমনকি অফিসে তার মনও বসেনা এমন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াসহ লোক মুখে চাউর হলে গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বত্রই সমালোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সাবরেজিস্ট্রার কানিজ ফাতেমাকে ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলায় বদলী করা হলে জামালপুর সদরের সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউনুছকে তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে বদলী করা হয়। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউনুছ তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে যোগদানের আগেই গত ২৮ মার্চ পূর্বের কর্মস্থল থেকে তার ব্যবহৃত চেয়ারটি তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পাঠিয়ে দেন। এনিয়ে তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ২৯ মার্চ সদ্য বিদায়ী সাবরেজিস্ট্রার কানিজ ফাতেমা শেষ কর্ম দিবসে সাবরেজিস্ট্রারের চেয়ারের পাশে দৃষ্টিনন্দন একটি চেয়ার দেখে তিনিও কৌতুহলী হন।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চয়ন পাল বলেন, অফিসে সাবরেজিস্ট্রারের নির্ধারিত এজলাস রয়েছে। কিন্তু এরপরও পনের হাজার টাকায় গাড়ী ভাড়া করে সুদূর জামালপুর সদর থেকে তাজপুরে চেয়ারটি আনার বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এতেই প্রমানিত হয় তিনি স্বজ্জন ব্যক্তি হবেননা।
তাজপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সত্যেন্দ্র কুমার দেব বলেন, স্যার আসার আগে অফিসে একটি চেয়ার পাঠিয়েছেন। আমি একটু ঝামেলায় আছি, এবিষয়ে পরে কথা বলব। একই অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক বলেন, তিনি (সাবরেজিস্ট্রার) শুধু চেয়ার পাঠিয়েই আলোড়ন সৃষ্টি করেননি, তিনি এ অফিসে প্রথম কর্ম দিবসে দলিল লেখকদের ডেকে প্রতিটি দলিলে তাকে সম্মানীর দেয়ার কথা বলেছেন। সম্মানী না দিলে তিনি দলিল রেজিস্ট্রার না করার হুশিয়ারী দিয়েছেন।
এবিষয়ে সদ্য বিদায়ী সাবরেজিস্ট্রার কানিজ ফাতেমা বলেন, অফিসে নতুন একটি চেয়ার দেখে আমি অফিস সহকারীদের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তারা আমাকে জানায়- এটি নতুন সাবরেজিস্ট্রার সাহেবের চেয়ার। তিনি আসার আগেই পূর্বের কর্মস্থল জামালপুর সদর থেকে মাইক্রো ভাড়া করে চেয়ারটি এখানে পাঠিয়েছেন। তিনি নাকি এই চেয়ারটি ছাড়া অফিস করতে পারেন না। তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি আর কোনো মন্তব্য করিনি। তবে অফিসের নির্ধারিত চেয়ারটি সংরক্ষণে রাখার জন্য অফিস স্টাফদের নির্দেশ দিয়ে আমি চলে আসি। এবিষয়ে কথা বলার জন্য নবাগত সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউনুছ এর ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েক দফা কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে এই প্রতিবেদকের মোবাইল নাম্বার থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সাবরেজিস্ট্রার ইউনুছ যোগদানের আগে পূর্বের কর্মস্থল থেকে চেয়ার নিয়ে আসার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খুঁজ নিয়ে দেখছি।