নিউজ ডেস্ক:: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেয়ের বিয়ে মেনে না নিয়ে জামাতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন শ্বশুর। উপজেলার বড়চওনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শ্বশুরের দায়ের করা ওই মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বের হন জামাতা লিটন মিয়া। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি উপজেলার বড়চওনা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নুসরাতকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাজী অফিসে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন লিটন মিয়া।

বিয়ের পর স্ত্রী নুসরাত অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার বাবা ওই বিয়ে অস্বীকার করেন। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ এনে সখীপুর থানায় জামাতা লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন শ্বশুর নাজিম উদ্দিন।

ওই মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর লিটন মিয়া টাঙ্গাইল পারিবারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে চার মাস ১৬ দিন কারাবাসের পর গত ২৪ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান। এর মধ্যে স্ত্রী নুসরাতের গর্ভে ফাহাদ নামের এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়।

বিষয়টি স্বীকার করে স্ত্রী নুসরাত বলেন, আমার বাবা এই বিয়ে মেনে না নিয়ে উল্টো আমার জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে লিটন মিয়া বলেন, বিয়ে মেনে না নিয়ে আমার শ্বশুর ও এলাকার কিছু কুচক্রীমহল মিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফেরত পেতে চাই।

মামলার বাদী নুসরাতের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করেছে লিটন। আগের বউ বাচ্চা থাকায় নুসরাতকে তার কাছে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তাই মামলা করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল