cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ ::
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় সংখ্যালঘু এক কলেজ ছাত্রীকে শ্লিলতাহানীর চেষ্টাকালে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে এক কলেজছাত্রী। গত ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় মুন্সীবাজার জেনুইন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বের হয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে পরানধর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কলেজ ছাত্রীর মা দ্বিপালী রানী চন্দ জানান, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী দিপা চন্দ (১৯) মুন্সীবাজার জেনুইন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে কম্পিউটার বিষয়ে চর্চা করছিল। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বের হয়ে বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজি-অটোরিক্সায় উঠে।
এ সময়ে গাড়ির চালক মুন্সীবাজারের মইডাইল গ্রামের আব্দুল মতলিব (২৫) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গাড়ির পিছনে বসে। আর গাড়ি চালাতে দেয় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ফায়ারম্যান হানিফ উল্ল্যা (৩০)। গাড়ি কিছুদুর যেতেই আব্দুল মতলিব কলেজ ছাত্রীকে শ্লিলতাহানীর চেষ্টা করে। গাড়ি থামানোর জন্য চালক হানিফ উল্ল্যাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গাড়ি না থামানোয় আত্মরক্ষার্থে লাফ দিয়ে রাস্তার পাশে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাতে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় পথচারীরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে মুন্সীবাজার জেনুইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির পরিচালক দিবাংশু দেবনাথ এ প্রতিনিধিকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দিপা চন্দ ক্লাসে আসে। প্রায় আড়াইটার দিকে ক্লাস থেকে বাড়ী উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খবর আসে মেয়েটি সিএনজি থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। শুক্রবার কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কম্পিউটার বিষয়ক ফাইন্যাল পরীক্ষা ছিল। তা দিতে পারেনি। শুক্রবার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখেছি। এ ঘটনার জেনুইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি সকল শিক্ষার্থী ও পরিচালকবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্ত সিএনজি চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
পরিবারে তার একমাত্র মা আছেন। ঘটনার খবর পেয়ে মহিলা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে মেয়েকে দেখতে যান এবং এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মেয়ের মা দ্বিপালী রানী চন্দ কান্নাজড়িত কন্ঠে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মৌলভীবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব স্বজল ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক পঙ্কজ রায় মুন্না শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আহত কলেজ ছাত্রীকে দেখতে যান এবং ঘটনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় মেয়ের কাকা শিবুল শীল বাদি হয়ে শুক্রবার উল্লেখিত দু’জন কে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুকতাদির হোসেন পিপিএম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।