cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক:: স্টার সানডে উপলক্ষে ফুর্তির টাকা যোগাড়ের উদ্দেশ্যে চুরি করতে গিয়েছিল উঠতি বয়সী চার যুবক। পরিকল্পনা অনুযায়ী চুরি করতে গিয়ে বাধার শিকার হয়। ধরা পড়ার ভয়ে গুলশান কালাচাঁদপুর এলাকার সেই বাড়ির গারো নারী বেসেত চিরান (৬৫) ও তার মেয়ে সুজাতা চিরানকে (৪০) খুন করে তারা।
ওই খুনের ঘটনায় জড়িত চারজনকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকে র্যাব-১ গ্রেফতার করে। পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সঞ্জিব চিরান (২১), রাজু সাংমা ওরফে রাসেল, প্রবীন সাংমা (১৯) ও শুভ চিসিম ওরফে শান্তকে (১৮)।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত এক মাস আগে সঞ্জিব তার বন্ধু শান্ত ও প্রবীনের সঙ্গে খালা সুজাতার বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। সঞ্জিব ধারণা করে খালার পরিবারের সবাই চাকরী করে তাই তাদের বাসায় ৫-৬ লাখ টাকা থাকতে পারে। স্টার সানডে উপলক্ষে আনন্দ ফুর্তি করার জন্য এ চুরির পরিকল্পনা করে তারা।
প্রায় এক বছর আগে সুজাতার স্বামী আশিষ, সঞ্জিবকে ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি দেয়। বেতন বেশি দাবি করায় এক মাস পরে চাকরি ছেড়ে শেরপুরে ফিরে যায় সঞ্জিব। তখন থেকেই খালা সুজাতার বাসায় আসা-যাওয়া ছিল সঞ্জিবের। চুরির পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৯ তারিখ বন্ধু শান্ত ও প্রবীনকে নিয়ে ঢাকায় আসে সঞ্জিব। ঢাকার কুড়িলে একটি আবাসিক হোটেলে কর্মরত তাদের বন্ধু রাজুকে ঢাকায় আসার বিষয়টি জানায় এবং রাজুর আরেক বন্ধুর বাসায় ওইদিন রাত যাপন করে। পরদিন ২০ মার্চ সকালে সঞ্জিব, শান্ত ও প্রবীন রাজুর কর্মস্থলে যায় এবং রাজুকে তাদের পরিকল্পনার কথা জানায়। রাজুর কাছ থেকে একটি ছুরি নেয় সঞ্জিব। তারপর তারা চারজন মিলে সকাল নয়টায় খালা বেসেতের বাসার নিচে যায়। সে সময় বাসায় অনেকে থাকায় তারা সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করে।
পরে আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে তারা বেসেতের বাসায় প্রবেশ করে। তখন বেসেত ও তার মেয়ে মায়াবী বাসায় ছিল। আত্মীয় হিসেবে বেসেত তাদের চা-বিস্কুট দেয়। পরে খালা সুজাতা, সঞ্জিবকে ২০০ টাকা দিয়ে দেশীয় মদ ‘চু’ আনতে বলে। সঞ্জিব মদ নিয়ে আসলে সবাই মিলে মদ পান করে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সুজাতাকে বেশি মদ পান করিয়ে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে। এ সময় সুজাতার মেয়ে মায়াবী তার কর্মস্থলে চলে যায়। তখন তারা চারজন চুরি করতে গেলে বাসায় সুজাতার মা বেসেত চলে আসেন। তাদের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে ভেবে প্রথমে বেসেতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা।
তারপর ওই বাসা থেকে আরেকটি ছুরি ও সঙ্গে আনা ছুরি দিয়ে মদ্যপ সুজাতাকে কুপিয়ে খুন করে শান্ত ও সঞ্জিব। তখন ঘরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও টাকা না পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় তারা। বাসা থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাহপুর এসে নালিতাবাড়ীর টিকিট কাটে এবং তাদের ব্যবহৃত ছুরি কাউন্টারের পেছনে ফেলে যায়। তারা গ্রেফতার এড়াতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।