cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক:: মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘রাজনৈতিক কৌশল কিন্তু সবই মনে রাখতে হবে।’
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৪ মার্চ মহাসমাবেশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি-না- জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, ‘এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে এই বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন আছে। রাজনৈতিক কৌশল কিন্তু সবই মনে রাখতে হবে। কোনটা করলে দলের জন্য ভালো হবে, দেশের জন্য ভালো হবে, সবকিছু বিবেচনা করে পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। অপেক্ষা করেন।’
মহা-সমাবেশের বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মিলিত জোট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামী ২৪ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের সব নেতাকর্মী নিয়ে আমরা একত্রিত হব। আমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে খবর পেয়েছি, নিশ্চয়তা পেয়েছি, মানুষ আগামীকাল থেকে ঢাকায় আসা শুরু করবে।’
‘এই সমাবেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে। চেয়ারম্যান সম্ভাবনার কথা বলবেন, আশা করি মানুষ আস্থা নিয়ে ফিরে যাবেন।’
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান সময়কে অত্যন্ত ‘কঠিন’ মন্তব্য করে বিরোধী দলের মহাসচিব বলেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ আমরা অতিক্রম করছি। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচন করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে কমপক্ষে ৯০০ প্রার্থীর তালিকা রয়েছে।’
‘জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে তিনি (এরশাদ) সময় সুযোগ বুঝে এই প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করবেন এবং পার্লামেন্টারি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে সুপারিশ আসবে প্রার্থী নির্ণয়ের ক্ষেত্রে। আমরা এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘২৭ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সরকার ছিল ৯ বছর। তার শাসনামলে যে উন্নয়ন, সংস্কার, কল্যাণ-সেবা হয়েছে দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল সেই কথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা দেশবাসীকে জানাব। একই সঙ্গে আমরা দু’টি দলের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) সফলতা ও ব্যর্থতা আমরা তুলে ধরব। মানুষের বিবেক রায় আগামী নির্বাচনে রায় দেবে জাতীয় পার্টির পক্ষে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কারণ আমাদের সময় খুন, গুম, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যসহ অসহনীয় পরিস্থিতি ছিল না।’
‘২৭ বছরে যে কয়টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান কারাগারে বসেও দুই দুইবার পাঁচটি সিটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আপনারা জানেন।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের এ কথা কেন বলতে হবে, আমাদের মেমোরি দেশের মানুষের মেমোরি সবসময় কাজ করে না। যদি কাজ করতো তাহলে উন্নয়নের জন্য, কল্যাণের জন্য, সেবার জন্য, মানব নিরাপত্তার জন্য, যমুনা ব্রিজের জন্য, দাউদকান্দি ব্রিজের জন্য, মেঘনা ব্রিজের জন্য, বুড়িগঙ্গার ব্রিজের জন্য, ঢাকা শহরের পান্থপথ, বিজয় সরণির জন্য, বেড়িবাঁধের জন্য এরশাদকে বহুবার তারা নির্বাচিত করতেন।’
সময়ের ব্যবধানে এদেশের মানুষ এরশাদকে জাতীয় পার্টিকে মূল্যায়ন করবে উল্লেখ করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আশা করছি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আগামী দিনে সরকার গঠন করবে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস জনগণের ওপর আমাদের আছে।’
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে না-কি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেধে নির্বাচন করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে ৩০০ সিটে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহা-সমাবেশ করছি। তারপরও যদি আরও কেউ আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, সম্মিলিত জোটকে আরও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, জোটের স্বার্থে তা করা হবে।’
‘আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি হবে, দেশের মানুষ কী চায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সুপারিশ কি- তা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমাদের কাছে তা ভেসে আসবে। সবকিছু চিন্তা করে দল ও দেশের স্বার্থে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দল হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা আছে, গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। সেজন্যই আজকে মুক্ত আকাশের নিচে সাংবাদিক সম্মেলন করছি।’ এ সময় জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।