cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নগরীর দরগাহ গেইটে দেশের প্রাচীনতম সাহিত্যপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) এর উদ্যোগে ১২ দিন ব্যাপি একাদশ বইমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় লেখক-পাঠক ও বইপ্রেমী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কেমুসাসের সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে ফিতা কেটে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে, আমাদের সিলেট নগরীতেও সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। তিনি কেমুসাস বইমেলাকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমাদের শহরে অনেক পাঠাগার থাকলেও সেখানে পাঠকের সংখ্যা কম। তাই পাঠক সৃষ্টির লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চারটি নতুন পাবলিক লাইব্রেরি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে লেক সিটিতে লাইব্রেরির জন্য ৫ ডিসিমিল জায়গা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, সিলেটে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বই পড়ে বেশি। তাই মেয়েদেরকে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দমূলক পরিবেশে বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস)-এর সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও বইমেলা উপকমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মবনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বইমেলা বাস্তবায়ন উপকমিটির আহবায়ক আ ন ম শফিকুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক তাজুল মুহাম্মদ, কেমুসাসের সহসভাপতি বশির উদ্দিন ও গল্পকার সেলিম আউয়াল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফ আরো বলেন, সুরমা নদীর তীরে চলমান ওয়াকওয়ে ও সৌন্দর্যবন্ধন প্রক্রিয়া আখালিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে চারটি স্থানে মোবাইল লাইব্রেরি করার চিন্তাভাবনা চলছে। এই প্রকল্পে মাননীয় অর্থমন্ত্রীও একমত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির প্রবাহে বই ও কাগজের পাঠক কমে যাবে বলে অনেকেই এতদিন ধারণা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বইয়ের পাঠক দিনদিন বাড়ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল-ট্যাবে বই পড়ার সুযোগ থাকা সত্যেও বইয়ের পাঠক কিন্তু কমছে না। একজন পাঠক বই পড়ে যে মজা পান, ট্যাবে বা মোবাইলে সেটা পান না। এতে প্রমাণ হয় বই কোনদিন মরবে না। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজগুলোতে লাইব্রেরি একটি অবহেলিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্কুল কলেজে লাইব্রেরির জন্য কোন বরাদ্দ থাকে না। সরকারের এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের বইমেলায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি সন্তানকে সত্যিকার আলোকিত করতে হলে তাকে অবশ্যই বইয়ের সংষ্পর্শে নিয়ে আসতে হবে।
বইমেলা বাস্তবায়ন উপকমিটির আহবায়ক আ ন ম শফিকুল হক বলেন, একাদশ কেমুসাস বইমেলা সফল করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি সিলেটবাসীকে প্রতিদিন বইমেলায় উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, এ বইমেলার সফলতা সিলেটবাসীর সফলতা।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, একাদশ কেমুসাস বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনে বায়ান্নর পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম বলেন, ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কেমুসাস প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের সাহিত্য সংস্কৃতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। নতুন প্রজন্মের হাতে বই তুলে দিতে এ প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন করে যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক তাজুল মোহাম্মদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বইয়ের বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মের হাতে বই তুলে দিতে হবে। কেমুসাসের সহসভাপতি সেলিম আউয়াল সিলেটের স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিগুলোকে সচল রাখতে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে লাইব্রেরিগুলোকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
বইমেলার উদ্বোধনী দিনেই মেলা প্রাঙ্গনে বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। স্টলগুলোতেও দেখা গেছে বেচাকেনার আবহ। বইমেলায় প্রতিদিনের নানা আয়োজনের মধ্যে রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা প্রতিযোগিতা ও নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব। কাল সন্ধ্যা ৭ টায় বইমেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জয়নাল আবেদীন বেগের ‘মুক্তিযুদ্ধে পুণ্যভূমি সিলেটের সূর্যসন্তানরা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব। এবারের বইমেলায় ৩৪টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছে। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবার মেলায় সর্বোচ্চ ৩০% কমিশনে বই বিক্রি করছে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এ বইমেলা । আজ মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ক ও খ গ্রুপের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও প্রকাশনা উৎসব। – বিজ্ঞপ্তি