cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক::
ফরাসি শিল্পীর আঁকা বিখ্যাত ছবিকে নগ্নতা ইস্যুতে ব্যান করে দেওয়া হল। কারণ এই ছবিতে নগ্নবক্ষের এক মহিলা রয়েছে। পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকারও করেছে ফেসবুক।
ফরাসি শিল্পী এগুয়েন ডেলাক্রোয়ার আঁকা এই বোখ্যাত ছবিটির নাম “লিবার্টি লিডিং দ্যা পিপল.” ১৯ শতকের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঝাণ্ডা হাতে এগিয়ে যাচ্ছে এক মহিলা। তার বুক থেকে খুলে পড়ে যাচ্ছে পোশাক। প্যারিসে এক বিশেষ অনলাইন ক্যাম্পেন চালানোর জন্য ছবিটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে নগ্নতা প্রদর্শনের অভিযোগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ব্লক করে দেওয়া হয় ওই ছবি।
এরপর ফের ওই ক্যাম্পেন লঞ্চ করা হয় একই ছবি দিয়ে। শুধু মহিলার ওই অংশ ঢেকে দেওয়া হয় ব্যানারে। যাতে লেখা ছিল “সেন্সরড বাই ফেসবুক”. ডেলাক্রোয়া ছবিতে যে মহিলাকে দেখিয়েছেন, সেটা শুধুই একজন মহিলার ছবি নয়। এটি হল মারিয়ানা, ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের জাতীয় প্রতীক।
ঘটনার পর অবশ্য ভুল বুঝতে পারে ফেসবুক। এই ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেয় তারা। ফেসবুক থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ওই ছবির ফেসবুকে জায়গা রয়েছে।’ আরও জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেক সপ্তাহে এই ধরনের বেশ কিছু ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েই যায়।
কিছুদিন আগেই এই একই কারণে ফেসবুকের ওয়াল থেকে মুছে দেওয়া হয় প্রায় ৩ হাজার বছর আগের “ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ”। বর্তমানে ভিয়েনার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে রয়েছে ইতিহাস জড়িয়ে থাকা এই মূর্তি।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইতালিয় শিল্প আন্দোলনকারী লরা ঘিয়ান্দা “ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ”-এর একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন। এরপর থেকে নানারকম বিতর্ক শুরু হয়। এই ছবি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াল থেকে সরিয়ে দেয় ফেসবুক। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ লরা।
তিনি বলেন, “এই মূর্তি কোনওভাবেই তো পর্নোগ্রাফিক নয়। মানব সংস্কৃতি এবং আধুনিক সমাজ এটা ওয়াল থেকে মুছে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ফেসবুক নিয়েছে তা মোটেই গ্রহণ করবে না”। লরার সঙ্গে গলা মিলিয়েই ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষও জানায়, আমরা মনে করি এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ। বিশেষত এমন একটা আইকনিক মূর্তিকে কেবল নগ্নতা হিসাবে মনে করা।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, “ভেনাসকে নগ্ন হতে দিন! শরীরে একটা সুতোও না থাকা এই নারী মূর্তি বিগত ২৯,৫০০ বছর ধরে প্রাগৈতিহাসিক উৎপাদন ক্ষমতার প্রতীক হয়ে রয়েছেন। আর ফেসবুক কি না সেই মূর্তিকে সেন্সর করছে!” আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ফেসবুকের নীতি নিয়েও। যদিও শেষমেশ বিতর্কের মধ্যে পড়ে ছবিটি ফের ফেসবুক ফিরিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার জন্যে ক্ষমাও চেয়েছে তারা।