cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। শনিবার সকালে কলেজের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে কুরুচীপূর্ণ বাক্য বিনিময় করেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, আমি কলেজের শিক্ষকদের দাওয়াতে জাতির পিতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আমাকে আলোচনায় অংশ নিতে আহ্বান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকের হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে হৈ চৈ শুরু করে অন্যরা। তারা চেয়ার নিয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। তাদের আচরণটা এমন ছিল, যেন কোনো নিষিদ্ধ ব্যক্তি অনুষ্ঠানে এসেছে অথবা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতারা তাকে পেয়ে জিম্মি করছে!
এ সময় মাইক হাতে নিয়ে আমি তাদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালে উল্টো আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। এমনকি তাদের না জানিয়ে কেন ক্যাম্পাসে গিয়েছি তার কৈফিয়তও চান তারা। অতীতে এ ধরনের কোনো কার্মকাণ্ড আমরা কলেজে দেখিনি। ছাত্রলীগের নামে সন্ত্রাসী লালন করা হচ্ছে ক্যাম্পাসে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দিন আগে কলেজের বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে ছাত্রলীগ রাস্তা নির্মাণ করছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসে। খবর নিয়ে দেখি, শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করে বিরোধপূর্ণ জমিতে রাস্তা করা হচ্ছিল। এনিয়ে আমার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার উপর এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, যেখানে ছাত্রলীগের মাদার সংগঠনের নেত্রী হিসেবে আমি নিরাপদ নই, সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এখানে কতটুকু নিরাপদ সেই প্রশ্ন থেকে যায়।
তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কলেজে এমন ঘটনা ঘটানো দুঃখজনক। তাদের হাতে শিক্ষকও জিম্মি বলে তারাও কিছু বলতে পারেননি। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এসময় ছাত্রলীগ নেতারা নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও তাকে শারীরিক হেনেস্তা করে। ছাত্রলীগের লাঞ্ছনার শিকার হয়ে কাবেরী অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের এহেন কর্মকাণ্ডকে ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি জাকের হোসেন বলেন, ওনাকে (নাজনীন) অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়নি। উনি অহেতুক এসে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিষোদগার করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ করেছে। এখানে আমাদের কোনো হাত ছিল না। রাস্তা নির্মাণের অভিযোগটিও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।