cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক:: কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে অনেকে। নেপাল পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটি গণমাধ্যমগুলো।
এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।
ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭৮ আসনের বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারীর সঙ্গে ছিল দুই শিশুও। যাদের মধ্যে অন্তত ৩৫-৪০ জন বাংলাদেশি, বাকিরা নেপালের নাগরিক বলে জানা গেছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৮ আসনের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় ২:২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। এসটু-এইউজি নামে নিবন্ধিত ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়েছিলো দুপুর ১:৪৩ মিনিটে।
বিমানবন্দরের আরেক মুখপাত্র বীরেন্দ্র প্রসাদ শ্রেষ্ট জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন তারা।
বিমানে যারা যাত্রী ছিলেন তাদের একটি তালিকা প্রকাশ হয়।
যাত্রীদের মধ্যে ৬২ জনের নাম:
রিজনা আব্দুল্লাহ, ফয়সাল আহম্মেদ, শামরিন আহম্মেদ, ইয়াকুব আলী, আলিফুজ্জামান, আলমুন নাহার অ্যানি, বিলকিস আরা, শিলা বসগেইন, নুরুন্নাহার বেগম, আলজিনা বরাল, চরু বরাল, আক্তারা বেগম, শাহীন ব্যাপারী, সোভিন্দ্র বোহারা, বসন্ত বোহারা, সামিরা বাজানকার, প্রবীণ চিত্রকর, নাজিয়া চৌধুরী, সাজেনা দেবকোটা, প্রিন্সি ধামী, গয়োন্ত গ্রুঙ, রেজোয়ানুল হক, রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান , মো. কবির হোসেন, দিনেশ হুমাগাইন, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, শ্রেয়া ঝা, পূর্নীমা লোহানী, মিলি মহারাজন, নিগা মহারাজন, সঞ্জয় মহারাজন, ঝাং মিং, আখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, শেকব পান্ডে, প্রশন্ন পান্ডে, বিনোদ রাজ পাডোয়াল, শঙ্কর হরি পাডোয়াল, সঞ্জয় পাডোয়াল, এফএইচ প্রতিক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, শেখ রুবায়াত, কৃষ্ণ কুমার শাহানী, উম্মে সালমা, আসেনা শাকিয়া, সানাম শাকিয়া, অঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা, সারোনা শ্রেষ্ঠা, সত্য শর্মা, হরিপ্রশাদ সুবেদি, দয়ারাম তাম্রকার, বাল কৃষ্ণ থাপা, সেতা থাপা, কিশোর ত্রিপাঠি, অবদেশ কুমার যাদব, অনিরুদ্ধ জামান নুরুজ্জামান, রফিক জামান।
দেখুন তালিকা:
এদিকে, বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে থাকা যাত্রীদের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা। এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নেপালে যোগাযোগ করছেন, খোঁজ পেলে জানানো হবে। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ২০মিনিটে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ের পাশে একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
রাজধানীর শুক্রবাদের বাসিন্দা এনজিও কর্মকর্তা রফিক জামান রিমু ও তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা এই ফ্লাইটে নেপাল যান। তাদের সঙ্গে ছিল সাড়ে সাত বছর বয়সী ছেলে অনিরুদ্ধ। বিপাশার স্বজনরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় তারা হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হন। ফ্লাইট ছাড়ার আগে বাসায় মোবাইল ফোনে জানান, ‘নেপালে নেমেই আমরা ফোন করবো’। তাদের নেপালের সিমও ছিল। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিপাশার বোন ঋতু জানান, ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এদিকে বিমানটির দুজন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান উম্মে সালমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। সরকারি এক সেমিনারে অংশ নিতে তারা নেপালে যাচ্ছিলেন।
উম্মে সালমা রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা। তিনদিনের দাফতরিক সফরে (অফিসিয়াল ট্রিপে) সোমবার ইউএস বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু রওনা দিয়েছেন তিনি। এরপরই আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বারিধারারা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের অফিসে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। বোনের জন্য আহাজারি করতে থাকনে তিনি। বোনকে জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। শোক যেন তাকে নির্বাক করেছে।
পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। নেপাল দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, সবশেষ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। মূলত ওই সেমিনারে আমার যোগ দেয়ার কথা ছিল। আমি যেতে পারি নাই বলে ওদের পাঠিয়েছি।