cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার:: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নানা অনিয়ম ও অসদাচরণে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম মুজিবুর রহমান। শুধু তাতেই ক্ষান্ত নয়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অফিস কক্ষের দরজা জানালা ভাংচুর করে ব্যারিকেড দিয়ে অফিসের অভ্যন্তরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ক্লাস বর্জন করে ওই অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে স্থানীয় নরসিংপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সালিশ বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ২নং নরসিংপুর ইউনিয়নস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার ফাঁকে বা অবকাশকালীন ছুটির ফাঁকে মাঠে খেলাধূলা, শরীরচর্চাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষ একেএম মুজিবুর রহমান বরাবরে আমরা বহুবার আবেদন নিবেদন করে থাকি। কিন্তু অনুমতি দেয়াতো দূরের কথা উল্টো আমাদেরকে প্রায়ই তিনি অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে সহসা অসুস্থতা জনিত কারণে ছুটি চাইলে বা প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহকালে অধ্যক্ষ আমাদের কাছে বিভিন্ন অংকের বখশিস দাবি করে বসেন। তখন বাধ্য হয়েই তা পরিশোধ করতে হয়। শেষমেষ এসব অনিয়মের ব্যাপারে সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল হকের স্মরণাপন্ন হলে সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে তিনিও আমাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে এড়িয়ে যান। তাই লেখাপড়ার সুষ্ঠ অনুকুল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের অপসারণ চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ একেএম মুজিবুর রহমান ঘটনায় জড়িত অসাধু শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। কার্যত: প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ডে আমার সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ বিনষ্ট করতে আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে এসব অনাকাংখিত ঘটনার ধু¤্রজাল রচনা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল হক বলেন, এলাকার একটি কুচক্রি মহল কতিপয় অসাধু শিক্ষার্থীদের মদদ দিয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক ও অভিবাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতি একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের এহেন অশালীন আচরণ মোটেই শোভনীয় নয়। অপরদিকে পিতৃতুল্য শিক্ষাগুরুর প্রতি শিক্ষার্থীদের এহেন অপমানজনক আচরণেরও দৃষ্টান্তমূলক সুষ্ঠ বিচার হোক এটা আমরা চাই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার দুপুরে এলাকাবাসীর আহ্বানে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তির আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগদান করে থাকে।
শনিবার রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত জানা যায়, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মহত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সৃষ্ট ঘটনার আংশিক নিস্পত্তি হওয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা প্রশমিত হয়। তবে আগামী সালিশ বৈঠকে বিষয়টি পূর্ন নিস্পত্তির মাধ্যমে উপজেলার প্রাচীন ওই বিদ্যাপীঠে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে এলাকার সচেতন মহল ধারণা করেন।