cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
অতি সত্তর কারাগারে বিশেষজ্ঞ একটি মেডিকেল টিম পাটিয়ে খালেদা জিয়ার শরীরের সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সচেতন চিকিৎসক সমাজ।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সচেতন চিকিৎসক সমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সংগঠনটির চিকিৎসক নেতারা এ দাবি জানান।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জাতি আজ উদ্বিগ্ন ও সু-চিকিৎসার দাবি’উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক নেতারা বলেন, অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো আশু সমাধান করা প্রয়োজন। এর মধ্যে অতি সত্তর কারাগারে বিশেষজ্ঞ একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার শরীরের সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু বলেন, আমরা সচেতন চিকিৎসক হিসাবে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যগত কারণে। আপনারা জানেন, ৭৩ বছর বয়স্ক এই মহিয়ষী বিদূয়ী মহিলা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত বহু বছর থেকে, বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে। তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবনে রাখা হয়েছে, সেখানে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের জন্য পূর্বের শ্বাসকষ্ট জনিত বক্ষ্যব্যাধি মারাত্নকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণ করার কোন ব্যবস্থা ঐ পরিত্যক্ত জেলখানায় নাই।
খালেদা জিয়া বিগত ২০ বছর ডায়াবেটিসে ভুগছেন জানিয়ে রফিকুল কবির লাবু বলেন, জরাজীর্ণ পরিবেশ, একাকীত্ব এবং সরকারের মানুষিক নির্যাতনের কারণে তার রক্তের শর্করা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে অথবা কমেও যেতে পারে। যা সার্বক্ষনিক পর্যনবেক্ষণ প্রয়োজন। অথচ ওখানকার অব্যবস্থার মধ্যে যা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। ফলে যে কোন সময় দেশনেত্রীর শারীরিক অবনতি ঘটতে পারে, যার জন্য এই সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।
“তিনি (খালেদা জিয়া) একজন হার্টের রোগী। বিগত ১০ বছর ধরে উনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। পরিত্যাক্ত জড়াজীর্ণ পরিবেশ এবং একাকীত্বের কারণে উনি যে কোন সময় একউট হ্নদরোগে আক্রন্ত হতে পারেন।”
“তিনি একজন চোখের রোগী। কিছুদিন পূর্বে উনি বিদেশ থেকে চোখের অপারেশন করে ফিরেছেন। এ অবস্থায় তার চোখের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন। যা জেলখার পরিত্যাক্ত জায়ঘায় কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। জরুরী ভিত্তিতে উনাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।”
খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হাঁটু সংক্রান্ত রোগ উল্লেখ করে রফিকুল কবির লাবু বলেন, উনি ৩০ বছর ধরে অষ্টিও আর্থোসিস রোগে ভুগছিলেন। যা উনা’র স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল এবং প্রচন্ড হাটু ব্যাথায় ভুগছিলেন। এক পর্যায়ে হাঁটু সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শে উনি দুটি হাঁটুই প্রতিস্থাপন করে নেন। অর্থাৎ কৃত্রিম হাঁটুর জোড়া লাগানোর অপারেশন করেন।
“ফলে বেশ কিছু বছর ধরে উনি ভালো আছেন। কিন্তু জোড়া প্রতিস্থানের পর এর ফলাফল এবং জোড়া ভালো থাকার সময়কাল সম্পূর্ণ নির্ভর করে অপারেশন পরবর্তী চলাচল ও হাঁটু ভাঁজের নিয়মের উপর। এই নিয়মগুলো মেনেই উনি এতদিন ভালো ছিলেন। অবৈধ সরকারের স্বঘোষিত জড়াজীর্ণ পরিত্যাক্ত জেলখানায় উনি কি অবস্থায় আছেন। তার চলাচলের অবস্থা, তার ওয়াশরুম ব্যবহারের পদ্বতি, সবকিছুর ব্যাপারেই একজন হাঁটু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কারণ এই নিয়মগুলি বর্তমান অবস্থায় সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী সম্পাদন না হলে খালেদা জিয়ার মারাত্নক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সেখানকার অব্যবস্থার জন্য তার কৃত্রিম জোড়া দুটি কোনভাবে ঢিলে হয়ে যায় তাহলে দেশনেত্রীর চলাফেরা মারাত্নক হুমকির মুখে পরতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপ ডা. এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক আহমেদ, ডা. হারুন-উর রশিদ, ডা. মো. শহিদুল আলম. ডা. গাজী আব্দুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।