নিউজ ডেস্ক:: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জব্দসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। জব্দকৃত মুদ্রার মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, ইউএস ডলার ও থাই বাথ।
শনিবার সকাল সোয়া ১১টায় বিজি-০০৮৮ ফ্লাইটযোগে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যাবার পথে ওই যাত্রীকে ঘোষণা বহির্ভূতভাবে সঙ্গে থাকা বৈদেশিক মুদ্রাসহ আটক করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, পাসপোর্ট অনুযায়ী যাত্রীর নাম রেজোয়ার মোর্শেদ পাভেল। পাসপোর্ট নং বিএল০৮২৭৬৯৪, বাড়ি রাজধানীর রামপুরা এলাকায়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নব নিযুক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ইমিগ্রেশন পরবর্তী বোর্ডিং কার্যক্রম সম্পন্ন করে রেজোয়ার মোর্শেদ নামের ওই ব্যক্তি ডিপারচার যাত্রী লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দার দল তার কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তার কাছে গচ্ছিত মুদ্রার চেয়ে কম পরিমাণ মুদ্রা রয়েছে বলে জানান। এসব মুদ্রা তিনি কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই বহন করছিলেন।

পরবর্তীতে যাত্রীকে ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে প্রায় ১২ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। জব্দকৃত মুদ্রার মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৬১৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, ৩ হাজার ২ ইউএস ডলার, ১৯শ’ ইউরো এবং ৮০ থাই বাথ। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ লাখ ৯২ হাজার টাকার সমান। এসব মুদ্রা দিয়ে তিনি চোরাচালানের চেষ্টা করছিলেন মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট চেক করে দেখা যায়, কামরুল ইসলাম চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৪ বার এবং ২০১৭ সালে ৩০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে একজন কাপড় ব্যাবসায়ী। বৈদেশিক মুদ্রাগুলো বাংলাদেশ থেকে পাচারের উদ্দেশে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে তিনি এভাবে ১০/১১ বার মুদ্রা বহন করেছিলেন মর্মে স্বীকার করেছে।

ড. মো. সহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ঘোষণা ছাড়া এবং লুকানোর কারণে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়েছে। এ ব্যাপারে আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল