নিউজ ডেস্ক:: জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাশ্মীর স্বাভাবিক হয়নি। বেঁচে থাকার জন্য সেখানে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পর্যন্ত মিলছে না। দেখা দিয়েছে বাচ্চাদের বেবি ফুডের আকাল। চলছে ওষুধ আর খাদ্যের হাহাকার।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তের প্রেসক্রিপশন নিয়ে একাধিক ওষুধের দোকানে দোকানে ঘুরছেন মানুষ। অন্যদিকে গত, ৫ আগস্ট থেকে স্তব্ধ কাশ্মীর উপত্যকা। শেষ হয়ে আসছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয় ৩৭০ ধারা। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা দেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাঘকে। সেই সিদ্ধান্তের পর থেকেই বন্ধ দোকানপাট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ ব্যাহত। ওষুধের সরবরাহ নেই।
গত ৫ আগস্ট থেকে নতুন কোনও সাপ্লাই আসেনি। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মত রোগ নিয়ে দুরদুরান্ত থেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। পাওয়া যাচ্ছে না ইনসুলিন, পাওয়া যাচ্ছে না ইনহিলার-ও। হাসপাতালে যেতে যেতেই মারা গিয়েছেন বহু রোগী।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ বছরেও এই ধরনের ওষুধের সংকট কাশ্মীরে হয়নি। গ্রামীণ অঞ্চলে বেবিফুডের মত প্রাথমিক দ্রব্যেরও জোগান না থাকায় হাহাকার শুরু হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।