প্রবাস ডেস্ক ::
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে কাজে যোগদান করার প্রথম দিনে এক প্রবাসী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৩ বছর। মো. শরিফ নামের সেই প্রবাসীর পিতা আলী আকবর খান চাদপুর জেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম মকদি গ্রামের বাসিন্দা।
২রা ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়া গিয়ে কাজ শুরু করে প্রথম দিনেই মারা যান তিনি। লাশ দেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার এ্যাম্বাসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা লাশ পাঠাতে খরচ বাবত ২৫ হাজার রিংগিত দেয়ার জন্য বলছে। কে দিবে এতটাকা? কোথায় পাবে দরিদ্র শরিফের পরিবার। বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার কি কোনো দায় নাই? সরকার কি একটা লাশ দেশে পাঠানোর খরচ বহন করতে পারেনা? এই প্রশ্ন প্রবাসীদের মুখে মুখে।
মালয়েশিয়ান ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা বলছেন এ্যাম্বাসির লোকেরা মানবতাবিরোধী কাজ করছে। প্রবাসীরা প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা রেমিটেনস দেশে পাঠাচ্ছেন আর একজন অসহায় প্রবাসীর লাশ দেশে পাঠানোর দায় নিতে চাচ্ছে না সরকার। বিষয়টির প্রতি সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
কুয়ালালামপুরের প্রবাসীরা বিভিন্ন ভাবে হাইকমিশনে যোগাযোগ করছেন নিজেরা কিছু টাকা তুলে দিলেও হাইকমিশন থেকে কোন সাড়া মিলছে না । শরিফের মারা যাবার খবর শুনে দেশে তার মা-বাবা, আত্মিয়-স্বজনরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।