ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে মোট ৭ হাজার ৮৮২টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৫ হাজার ৬৪৮টি ইটভাটা প্রযুক্তি সম্পন্ন, বাকি ২ হাজার ২৩৪টি ইটভাট অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংক্রান্ত আইন-২০১০ এর বিধি মতে কেউ কৃষি বা যত্রতত্র ইটভাটা নির্মাণ করতে পারে না। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। এর ব্যত্যয় ঘটলে জেল-জরিমানাও হতে পারে।
তিনি বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৮- আইন অনুযায়ী ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও আইন অনুযাযী ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং গ্রহণযোগ্য মাত্রায় বায়ুদূষণ হয় এমন পদ্ধতির ইটভাটা স্থাপনের বিধান করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নত প্রযুক্তির ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের সুযোগ নেই এবং বায়ুদূষণসহ অন্যান্য পরিবেশ দূষণ তুলনামূলক কম হয়। আইনটি বাস্তবায়নে পরিবেশন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
ইতোমধ্যে দেশে বিদ্যমান ইটভাটার মধ্যে ৭১ দশমিক ৬৪ ভাগ ইটভাটাকে উন্নত প্রযুক্তিতে রুপান্তর করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান।