নিউজ ডেস্ক:: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,নির্বাচন কমিশন তো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নয় যে,কেউ কোনো প্রস্তাবে ভেটো দিলে তা পাশ হবে না।ইসি’র বৈঠক থেকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেতুভবন এলাকায় জনসংযোগকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
গতকাল এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন,স্লোগান পাল্টা স্লোগান দিয়ে নমিনেশন পাওয়া যাবে না, রঙ বে রঙের পোস্টার নমিনেশন দেবে না।যারা জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করে না,চাঁদাবাজি করে,অপকর্ম করে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।ভালো হয়ে যান,কেউ অপকর্ম করবেন না,কেউ চাঁদাবাজি করবেন না।আওয়ামী লীগে দখলদার চাঁদাবাজদের জায়গা নেই।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার দাবি একটাই, প্রার্থী ৪/৫ যে-ই হোক, নমিনেশন পাবে একজন। বাকি ৪ জন যদি ভেতরে ভেতরে বিরোধিতা করে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে না। প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবারই আছে।অসুস্থ প্রতিযোগিতা কর্মীদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি করে।এই শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।
বিএনপির সঙ্গে ড. কামাল. মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রবের ঐক্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জোটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসী জানে।বিএনপি যাদেরকে নিয়ে জোট করেছে জনগণের কাছে তাঁদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই,তাঁরা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।তাই তাঁদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের নতুন জোটে না যাওয়ার বিষয় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,বি. চৌধুরীকে কৌশলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।তাঁকে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।বি. চৌধুরীকে অপমান করা হয়েছে।