শাবি প্রতিনিধি ::
অবকাঠামো ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব না, আমাদের যে দুর্বলতা তা কটিয়ে উঠতে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এই অবকাঠামোগগত উন্নয়ন বলে মন্তব্য করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১১ই অক্টোবর) সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সি.ই.ই) বিভাগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সি.ই.ই ফেস্টিভ্যাল ‘এক্সিড-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার এই অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে, আগামী কয়েক বছরে আমরা এর ফলাফল দেখতে পাবো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দিক থেকে বাংলাদেশে এর উন্নয়ন করা কঠিন তার কারণ হচ্ছে প্রকৃতিক দূর্যোগ, যা অন্য দেশগুলোতে এতো কঠিন না। তাই সকলের উচিৎ একধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর উন্নয়ন সাধন করা। তিনি বাংলাদেশের উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে সারা বিশ্বে বলতেছে উন্নয়নের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের আর এই অবস্থা থাকবে না। যখন বয়স্ক জনসংখ্যার সংখ্যা বাড়বে। তখন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐসময়ে বাংলাদেশে যারা অবদান রাখবে তাদের অনেকেই আজ এখানে উপস্থিত। ইতিমধ্যে আমাদের বেশকিছু সমস্যা নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। এগুলোকে মোকাবেলা করে বাংলদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শাবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেভাবে এগুনো দরকার সেভাবে এগোয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র বিশ শতাংশ ছাত্রদের জন্য আবাসিক আছে। আশি শতাংশ ছাত্র বাইরে থাকে। ৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের মধ্য মাত্র ১৬ জন শিক্ষকের ভিতর থাকার ব্যবস্থা আছে। ২৫০জনেরও বেশি কর্মকর্তাদের মধ্য মাত্র আট জন ভিতরে থাকতে পারে। এছাড়া সবাই শহরে বিভিন্ন জায়গায় থাকে। এসব সমস্যার সমাধানের আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন আমরা ইতিমধ্যে ১০৫০ কোটি টাকার প্রজেক্ট তৈরি করে ডিপিবি’তে জমা দিয়েছি।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, বিশিষ্ট ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আজিজুল হক প্রমুখ।
প্রথমবারের আয়োজিত সি.ই.ই ফেস্টিভ্যাল ‘এক্সিড-২০১৮’র তে মোট আটটি ইভেন্ট ট্রাস চ্যালেঞ্জ, মেকানিক্স অলিম্পিয়াড, অটোক্যাড ড্রয়িং, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, সাধারণ জ্ঞান কুইজ, ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন ও এক্সিড ম্যানিফেস্টেশন ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় দেশের ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
আয়োজকরা জানান প্রতিটা ইভেন্টে বিচারক হিসেবে ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী এবং ‘ব্র্যান্ডিং ব্যালাডস’ প্রতিযোগিতার অতিথি বিচারক হিসেবে ছিলেন টেন মিনিট স্কুলের উপদেষ্টা মোহাম্মদ সামিদ রাজ্জাক। এছাড়াও প্রতিযোগীদের বিকেলে জন্য টেকনিক্যাল সেমিনার, সমাপনী অনুষ্ঠান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।