সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নিকাহ রেজিষ্টার সৈয়দ আহমদের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০আগষ্ট) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ তাহিরপুর ইউএনও এর বরাবরে দাখিল করেছেন মোঃ জিয়াউর রহমান। তিনি তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান জামালগড় গ্রামের মৃত রাশিদ আলী মুন্সীর পুত্র।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ২৭আগষ্ট সোমবার উপজেলার গাজীপুর গ্রামের ডেন্ডু মিয়ার ছেলে একেই গ্রামের ধন মিয়ার মেয়ে অপ্রাপ্ত্য বয়স ছেলে ও মেয়ের বাল্য বিবাহ করিয়েছেন নিকাহ রেজিষ্টার সৈয়দ আহমদ। এমন লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিকাহ রেজিষ্টার সৈয়দ আহমদকে তার রেজিষ্টার বর্হি ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে আসতে বলেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এতে তিনি অপারগতা দেখান। পরে বিকালে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ঐ কাজির নিজ গ্রাম গিয়ে তার বসতবাড়ি থেকে ১৫টি নিকাহ রেজিষ্টার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার জন্য জব্দ করে নিয়ে আসেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিকাহ রেজিষ্টার সৈয়দ আহমদ বলেন,গাজীপুর গ্রামের ছেলে মেয়ে উভয়ের পরিবার আমার নিকট এসেছিল বিবাহ পড়ানোর জন্য। বয়স কম হওয়ায় আমি বিবাহ পড়াই নি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আর যা জব্ধ করা হয়েছে তা ২০১২সালের ও পুরোনো। এছাড়া তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারে নি।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জিয়াউর রহমান বলেন,আমি সরকার ঘোষিত বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের জন্য এই অভিযোগ দিয়েছি। যাতে করে আগামী দিনে বাল্য বিবাহ করাতে অন্যান্য কাজিগন সর্তক হয়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব বলেন,নিকাহ রেজিস্টার সৈয়দ আহমদের ১৫টি রেজিস্টারের অধিকাংশ বিয়েতেই দিন তারিখ ও স্বাক্ষর নেই। তাই সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার জন্য জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কাবিন নামায় কোন টায় একলাখ কোন টায় আরো বেশী লেখা আছে। সরকারী ফির বিষয়েও কোন মিল নেই। ফির টাকা জমা দিয়েছেন কি করছেন তাও বুজা যাচ্ছে না। তার কাছে একেই সালের একাধিক নিকাহ রেজিস্টার রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।