cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নিউজ ডেস্ক:: প্রেমের কারণে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে পরে বিষপানে আত্মহত্যার পর আইনি জটিলতায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে হাসপাতালের মর্গে (হিমঘরে) পড়ে থাকা হোসনে আরা লাইজুর (আগের নাম- নিপা রানী) মরদেহ ইসলাম ধর্মীয় রীতিতে দাফন করার নির্দেশ দেন আদালত। সেই রায়ের কপি এখনও নীলফামারীতে তার পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি। রায়ের কপি না পাওয়ায় লাশ দাফনে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না নীলফামারীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর লাশ দাফনের জন্য পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে এখনও হাইকোর্টের রায়ের কপি পৌঁছেনি। রায়ের কপি হাতে পেলেই ওই নারীর লাশ দাফনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তবে লাইজুর (নিপা রানীর) শ্বশুর জহুরুল মেম্বার বলেন, গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের জানানো হয়েছে- হাইকোর্টের আদেশের মূল অনুলিপি পাওয়ার পর তারা লাশ দাফনে পদক্ষেপ নেবেন।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আইনি জটিলতায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে মর্গে পড়ে থাকা ধর্মান্তরিত হওয়া লাইজুর মরদেহ ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।
রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরের পর ১৬ এপ্রিল (সোমবার) ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে দুই দিনের মধ্যে হোসনে আরা লাইজু (নিপা রানীর) মরদেহ দাফন করতে বলা হয়েছে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দাফনের আগে লাইজুর (নিপা রানীর) লাশ তার বাবার পরিবারকে দেখার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের খামার বমুনিয়া গ্রামের অক্ষয় কুমার রায়ের মেয়ে নীপা রানী রায়ের সঙ্গে একই উপজেলার পূর্ব বোড়াগাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন ফরিদ লাজুর (২৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর পালিয়ে যান। এরপর নীপা রানী রায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ও মোছা. হোসনে আরা বেগম লাইজু নাম নেন। নীলফামারী নোটারি পাবলিক ক্লাবের মাধ্যমে অ্যাভিডেভিটে দুই লাখ ১ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে হুমায়ুন ফরিদ লাজুকে বিয়ে করেন তিনি।
এ ঘটনায় নীপার বাবা অক্ষয় কুমার রায় বাদী হয়ে একই বছরের ২৮ অক্টোবর নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ের সকল কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদান করেন নীপা। পরে আদালত সার্বিক বিবেচনায় অপহরণ মামলাটি খারিজ করে দেন।
মেয়ের বাবা মামলার খারিজ আপিলে তার মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও মস্তিষ্কবিকৃত (পাগল) দাবি করে আদালতে কাগজপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী সেফ হোমে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি হুমায়ূন ফরিদ ওরফে লাজু ইসলাম বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। এরপর লাজুর আত্মহত্যার বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করে মেয়ের বাবা মেয়েকে নিজ জিম্মায় নিতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করলে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি মেয়েকে নিয়ে বাবা তার বাড়িতে নিজ জিম্মায় রাখেন। তবে মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও মস্তিস্কবিকৃত (পাগল) দাবি করে আদালতে আগে যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল সেটি চলমান থেকে যায়।
২০১৪ সালের ১০ মার্চ কীটনাশক পান করেন নীপা। পরে তাকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। ডোমার থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মেয়েটির মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে।
পরদিন (১১ মার্চ) নীলফামারী জেলার মর্গে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়।
এরপর পুত্রবধূ দাবি করে তার শ্বশুর জহুরুল ইসলাম নীপার দাফন ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক অন্যদিকে নীপার বাবা অক্ষয় কুমার রায় হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে মেয়ের সৎকারের জন্য নীলফামারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন।
আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে নীপার মরদেহ তার শ্বশুরের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। ফলে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নীপার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের হিমঘরেই থেকে যায়।