মারুফ হাসান ::
ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে সিলেট সিক্সার্সের শুভ সূচনা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিপিএলের এবারের আসরের নতুন দল সিলেট সিক্সার্স। হাজার হাজার দর্শক স্বাক্ষী হয়ে রইলেন সিলেট সিক্সার্সের এই ইতিহাস রচনায়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএল-এর পঞ্চম আসরে প্রথম খেলা শুরু হয় বেলা ২টায়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের মোকাবেলায় অসাধারণ বলিং নৈপূণ্য দেখায় সিলেট সিক্সার্স নামের স্বাগতিকরা। তাদের নৈপূণ্যের শিকার হয়ে সাঝঘরে ফিরে যান ঢাকা ডায়নামাইটস-এর মেহেদী মারুফ, এভিন লুইস, কুমার সাঙ্গাকারা, মোসাদ্দেক হোসেন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সাকিব আল হাসান ও আদিল রশিদ।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান ঘরে তুলে নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সিক্সার্স ১৯ বল হাতে থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। এই জয় অর্জনে তারা বিষর্জন দিয়েছেন ১টি ইউকেট। ব্যাটিং-এর শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কান উপুল থারাঙ্গা আর উইন্ডিজ আন্দ্রে ফ্লেচারের চার-ছক্কার ফুলঝুরি। ৯ ওভারেই তাদের এ জুটি স্কোরবোর্ডে তুলে নেন ৭৭ রান। তাছাড়া ৭৬ বলে শতরানের জুটিও গড়লেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ৩৮ বলে অর্ধশতকের ঘরে পৌঁছে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। আর আবু হায়দার রনিকে দারুণ এক শটে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকিয়ে ৩৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন থারাঙ্গা।
সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটিং ঝড়ে ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব একে একে ব্যবহার করেন সাত বোলারকে কিন্তু এ জুটিকে আটকাতে না পেরে চিন্তার ভাজপড়ে কপালে। অবশেষে ফ্লেচারের বিদায়ে ১২৫ রানের জুটি ভাঙে। আদিল রশীদকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে লুইসের ক্যাচ হয়ে ফিরেন ফ্লেচার। কিন্তু ৫১ বলে পাঁচ চার আর তিন ছয়ে ৬৩ রান করে ডায়নামাইটসের সর্বনাশটা ঠিকই করে যান ফ্লেচার। বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নেই শেষ করেন থারাঙ্গা আর সিলেট সিক্সার্সের আইকন সাব্বির রহমান।
৪৮ বলে পাঁচ চার আর দুই ছয়ে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা। সাথে ছিলেন ২ রান করা সাব্বির।
ঘরোয়া আয়োজনের সবচেয়ে বড় টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের এই আসরে সিলেট সিক্সার্স তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়েছে। অধিনায়ক নাসির হোসাইনের বিচক্ষণ দিক নির্দেশনাই সিলেট সিক্সাসর্কে এনে দিয়েছে সাফল্য। সাথে প্রায় ১৭ হাজার দর্শকের ভালবাসা যে ছিল তা অশ্বিকার করবার উপায় নাই।